ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ইজি বাইক চালাচ্ছে শিশুরা ॥ বাড়ছে দুর্ঘটনা

pic-ebayek-salasse-shishuএম. রায়হান চৌধুরী, চকরিয়া:  ‍চকরিয়া পৌর এলাকায় ইজি বাইক (টমটম) ঝুঁকি নিয়ে চালাচ্ছে শিশুরা। ফলে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। প্রশাসনের নিরবতা সচেতন মহলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। চকরিয়া-পেকুয়া, বেতুয়াবাজার সড়ক, পৌরএলাকা ও ২৫টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক (টমটম), করিমন ও নসিমন ট্রলির দৌরাত্ম্য আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এসব গাড়ীর বেপরোয়া চালনায় পরিবেশ দুষণ ও বিকট আওয়াজে শব্দ দূষণ হচ্ছে। সে সাথে শিশু চালকের জন্য বেড়েই চলেছে অপ্রত্যাশিত সব দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উল্লেখিত সড়কগুলোতে মানুষের চাহিদার পাশাপাশি দিনদিন বাড়ছে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক (টমটম), করিমন ও নসিমন ট্রলির সংখ্যাও। এসব গাড়ীগুলো চালাচ্ছে শিশুরা ও অদক্ষ রিক্সা চালকরা। টমটম যাত্রী পরিবহণ করছে আর নসিমন ও করিমন বহন করছে বিভিন্ন ধরনের মালামাল। পুরো চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের আভ্যন্তরিন সড়ক নয়, এসব বাহনগুলো মহাসড়কেও নির্বিঘেœ চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর বেশীরভাগ যানে হেড লাইটও জ্বালানো হয় না। পাশাপাশি অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের অভিযোগও রয়েছে ইজি বাইক চালকের বিরুদ্ধে।

আঞ্চলিক ও আভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নিম্ন আয়ের নয় শুধু সকল স্তরের লোকজনের এখন জনপ্রিয় বাহন হচ্ছে টমটম। সে সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনাও কম ঘটছেনা।

একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এসব টমটম, নসিমন ও করিমন মহাসড়কে চলাচলে চালক ও মালিকদের উপর সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের চোখের সামনেই দেদারছে চালাচ্ছে এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানগুলো। এতে করে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় অন্তত শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অনেক যাত্রী মারা গেছে। পঙ্গুত্বও বরণ করেছে অনেকে।

সুত্র জানায়, এসব টমটম, নসিমন ও করিমন যানে কোন লাইসেন্সও নেই। নেই কোন চালকের লাইসেন্স এমন কি চালকেরাও প্রশিক্ষিত নয়। এরপরেও বিনা বাধায় চলছে গাড়ীগুলো। পাশাপাশি শিশু ও আনাড়ি চালকেরাও বনে যান চালক।

এদিকে, স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহন মালিক ও পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনগুলো এসব গাড়ীতে যাত্রী পরিবহন করার বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

অন্যদিকে, এসব যানগুলোর বেপরোয়া চালনার কারণে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরাও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: